লগইন
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় অনেক যাত্রীকে হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। অনেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধের খবর জানতেন না। সকাল সোয়া ৯টার দিকে স্টেশনে এসে ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়টি জেনে যাত্রীরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। তবে বয়স্ক ও নারী যাত্রীদের অনেকেই স্টেশনেই অপেক্ষা করতে থাকেন।
ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার স্টেশনে একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। যাত্রীরা বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
রানিং স্টাফদের দাবিগুলো কী?
রানিং স্টাফদের মূল দাবি হলো, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও অবসরকালীন আনুতোষিক সুবিধা দেওয়া। এ বিষয়ে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এই রানিং স্টাফদের মধ্যে গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) অন্তর্ভুক্ত। এঁরা দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আগে দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিক বেতনের ভিত্তিতে বাড়তি অর্থ পেতেন এবং অবসরের পর বেসিকের ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে আনুতোষিক হিসাব করা হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এই সুবিধা সীমিত করে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং ট্রেন বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে না ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যাত্রীদের দুর্ভোগ
ট্রেন চলাচল বন্ধের কারণে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই দীর্ঘ সময় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে বিকল্প পথে যাত্রা শুরু করেছেন। যাত্রীদের দাবি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হোক।
সরকারি পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে রেলওয়ের এই জটিলতা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!