ঢাকা — প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীতে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে — সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘সাড়ে তিন ঘণ্টা’ বলে উল্লেখ করছেন। মধ্যরাত থেকেই শহরে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ইবনে মিজান জানান, প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই টহল থাকবে, কিন্তু ভোরের ওই সময়টিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দেয়া হবে, কারণ সাধারণত ছিনতাইকারী ও নাশকতাকারীরা ভোরের সময়টাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগায়। পুলিশ, ডিবি, সিটিটিসিসহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, অপরাধীদের নির্বিঘ্ন চলাচল রোধে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং টহল বা চেকপোস্টে দায়িত্বে অবহেলা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নৈরাজ্য রোধ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একই সময়ে একটি পক্ষ নানা গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে—তার ওপরও নজর রাখা হচ্ছে।
গতকাল ভোরে বনানীতে একটি ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসআই আবু তারেক একটি মামলা দায়ের করেছেন; এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে রোববার ধানমন্ডিতেও অনুরূপ কর্মসূচি দেখা যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন অংশে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়া এবং কিশোর গ্যাং-সংঘবদ্ধ অপরাধীর সক্রিয়তার কারণে পুলিশ সচেতন। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতের জটে আটকে থাকা যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা ছিনতাইর শিকার হচ্ছেন। কিছু স্থানে সড়কের বাতি নষ্ট থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে—এই সব ক্ষেত্রেই টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।
সার্বিকভাবে, রাজধানীর নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং ভোরের সেই ঝুঁকিপূর্ণ তিনঘণ্টাকে কাবু করতে সড়ক-মহাসড়ক ও আবাসিক এলাকায় কড়া নজরদারি চালানোর সংকল্প ব্যক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!