বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাজীপুরের কালিয়াকৈর শ্রমিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কালিয়াকৈরে সকালে একটি জেলা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এর আগে চন্দ্রা এলাকার অপর একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে শ্রমিকরা।
এছাড়া শফিপুর এলাকার তানহা হাসপাতাল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মানুষ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হরিণহাটি, পল্লীবিদ্যুৎ ও চন্দ্রা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসময় চন্দ্রা হাইওয়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে তারা। পরে ওয়ালটন কোম্পানির সামনে ওয়ালটনের প্লাজায় হামলা চালিয়ে আগুন দেয় শ্রমিকরা। একইসময় প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকাপেও আগুন দেয় তারা।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট গিয়ে দেড় ঘন্টার প্রাণান্ত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
এর পরপরই দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হরিনহাটি এলাকায় মহাসড়কে আরেএফএল কোম্পানির একটি মাল বোঝাই ট্রাক আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে শ্রমিকরা। একই স্থানে আরও একটি পিকাপ ভ্যানে আগুন দেয়া হয়।
অন্যদিক রণক্ষেত্রে পরিনত হওয়া মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য বিভাগের সদস্যরাও। এসময় বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল হক ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, পল্লীবিদ্যুৎ ও চন্দ্রা এলাকায় শ্রমিকরা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছে। তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় যানবাহন চলাচল অস্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের শিল্প পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!