বৈঠকের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার জন্য দেশের মানুষ দোয়া ও প্রার্থনা করবেন। বর্তমান শারীরিক অবস্থার কারণে হাসপাতালে নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া, নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করতে তাকে রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার পরিবার ও দল এ বিষয়ে অবগত।
এদিকে, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দেশবাসীর দোয়া ও সহায়তা তার সুস্থতায় সাহায্য করতে পারে।
ডা. জাহিদ জানান, তারেক রহমান সার্বক্ষণিক চিকিৎসার তদারকি করছেন। সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা যথাসাধ্য সহায়তা দিচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী হবে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানের পর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, তিনি নিউমোনিয়া ও অন্যান্য জটিলতাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয় এবং পরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
লগইন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!