বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস এসোসিয়েশন (বিজিবিএ)-এর প্রথম নির্বাচন আগামী ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে “ইউনাইটেড” নামে একটি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ডিআরইউ নসরুল হামিত মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটি আত্মপ্রকাশ করে। প্যানেলটির আহবায়ক আনিসুর রহমান, সদস্য মো. নাহিদুল হুদা, রেজওয়ানুল হক সিরাজী ও মো. কাওসার আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেলটির পক্ষে মফিজউল্লাহ বাবলু বলেন, “ইউনাইটেড” প্যানেলটি উদীয়মান তারুণ্যের সমাবেশ। ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের জন্য বিজিবিএ-এর সভাপতি পদপ্রার্থীও তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবিএ সভাপতি প্রার্থী মফিজউল্লাহ বাবলু বলেন, “১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ নামক ছোট্ট জনবহুল একটি দেশের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ যা এখনো অব্যাহত। দেশের অর্থনীতি নামক মেরুদণ্ডকে সোজা ও শক্ত করার ক্ষেত্রে যে সকল সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে অন্যতম, লক্ষ লক্ষ গরীব প্রবাসীর ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। এরপরেই আসে সেই সেক্টরের শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প। আর এই পোশাক শিল্পের চাকাকে চালু রাখার জন্য ফুয়েলের বা মূল ভূমিকায় আছে বাংলাদেশের নাম।
তিনি বলেন, “আমাদের সর্বশেষ তথ্যমতে দেশের রপ্তানি করা পোশাক শিল্পের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ কার্যাদেশ বা অর্ডার সংগৃহীত ও বাস্তবায়ন হয় এসকল বায়িং হাউসের মাধ্যমে। এই বায়িং হাউসের মালিকদের সংগঠনের নাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস এসোসিয়েশন বা সংক্ষেপে বিজিবিএ। বহু ঘাত প্রতিঘাত ও বাঁধা পেড়িয়ে সংগঠনটি অবশেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনে একটি স্বতন্ত্র ব্যবসায়িক সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
তিনি আরও বলেন, “পোশাক রপ্তানি শিল্পের সাথে জড়িত অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক সংগঠনের মতো আমাদের সংগঠনও ব্যবসা প্রসারে ও জাতীয় রাজস্ব অর্জনে ভূমিকা রেখে দেশের জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। যার বাস্তবায়নের কেন্দ্র হবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস এসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটি তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহারে তারা পোশাক শিল্পের উন্নয়ন, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি, সরকারের সাথে সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!