আগামী ৮ই মে অনুষ্ঠিতব্য বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তারা হলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী( মোটরসাইকেল), আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা আমির হোসেন মাষ্টার (ঘোড়া)ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান( আনারস)।
তিনজনের ই প্রচার প্রচারনা তুঙ্গে। হাওর বেষ্টিত ১৫ টি ইউনিয়নে সমান তালে চলছে জনসংযোগ। বৈশাখ মাসে কৃষক গণ ধান কাটায় ব্যস্ত থাকায় রাতে গ্রামে গ্রামে চলছে সভা ও উঠান বেঠক। তিনজনের সমর্থকরাই দাবী করছেন তাদের প্রার্থী জয়ী হবে। বানিয়াচং গ্রাম ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
বানিয়াচং গ্রামের বাইরে ১১টি ইউনিয়ন। বানিয়াচং সদর ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী দুজন। আমির হোসেন মাষ্টার ও ইকবাল হোসেন খান। বাইরের ১১টি ইউনিয়নে একমাত্র প্রার্থী আবুল কাশেম চৌধুরী। আমির হোসেন মাষ্টার আওয়ামিলীগের সভাপতি হিসেবে ৯১ সন থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ও দীর্ঘ ৩৫ বছর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে জনগনের সহানুভূতি পাবেন বলে তার সমর্থকদের দাবী। আবুল কাশেম চৌধুরী ক্লিন ইমেজের ও জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে তার ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে সমর্থকদের দাবী। ইকবাল হোসেন খান শালিসি বিচারক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। বানিয়াচং নির্বচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ৭৮ হাজার। বর্ষিয়ান নেতা আমির হোসেন মাষ্টারের দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করায় তার ছাত্র ছাত্রী ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবলীগ কর্মী জানান, আবুল কাশেম চৌধুরী জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে তৃনমুল পর্যায়ের যুবলীগ কর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছেন। এদিকে আমির হোসেন মাষ্টার আওয়ামিলীগের সভাপতি হিসেবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট পাবেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে বৈশাখ মাস কৃষক গণ ধান কাটায় ব্যস্ত ও মানুষের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় ভোট কাষ্ঠ কম হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে অপেক্ষার পালা কে হাসবে বিজয়ের হাসি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!