এইচ এম আরিফ হোসেন//
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে জেলার সবচেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী সফরমালী বাজারে সপ্তাহের প্রতি সোমবার নিয়মিত পশুর হাট বসে আসছে। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ২ জুন সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী সফরমালী পশুর হাটে বসতে যাচ্ছে নাম মাত্র হাসিলে চাঁদপুর জেলার অন্যতম বৃহত্তম পশুর হাট।যেখানে চাঁদপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বেপারী, খামারী ও গৃহস্থরা তাদের গরু ও ছাগল নিয়ে হাজির হবেন । ফলে সাপ্তাহিক এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলায় পরিনত হবে। ঈদে কে সামনে রেখে হাট কতৃপক্ষ ইতোমধ্যে সকল বাড়তি প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে রেখেছে। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ ও প্রশাসনিক নিরাপত্তার সু-ব্যবস্থা,গরু-ছাগলের চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তারের ব্যবস্থা, হাটে পাইকারদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা, জাল টাকা সনাক্তকরণের মেশিনের ব্যবস্থা, ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধা, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও খাবার পানির ব্যবস্থা, যানবাহনের পার্কিং ব্যবস্থা
ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় সোমবার ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁক ডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে পুরো সফলমালি এলাকা। হাটে হাজার হাজার দেশী বিদেশি গরু-ছাগল দেখা যাবে। সাপ্তাহিক হাট হওয়ায় এই হাটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো নাম মাত্র হাসিলে এখান থেকে পশু ক্রয় করা যায়। যে খানে অন্যান্য বাজারে কয়েক হাজার টাকা হাসিল দিতে হয়, এই সফরমালী পশুর হাটে মাত্র কয়েক শত টাকা হাসিল দিয়ে পছন্দের পশুটি ক্রয় করা যায়।
সফরমালী হাটের পরিচালক আজাদ খান বলেন চাঁদপুর এবং পার্শ্ববর্তী জেলাতেও সফলমালী হাটের ঐতিহ্য ও সুনাম রয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো এখানে বাজার ব্যবস্থাপনা, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং হাসিল একেবারেই কম রাখা হয়। আমরা সব সময় প্রতিটি গরু থেকে নাম মাত্র হাসিল রাখি। এবছর আমরা পুরো হাট এলাকা একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার দ্বারা নিয়ন্ত্রন করছি। আমাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং এলাকাবাসী আমাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জমজমাট গরুর হাট বসে এখানে। হাটটি থেকে আয়ের বেশীর ভাগ টাকা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে ব্যায় করা হয়ে থাকে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!