ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয়তা এই উন্নতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়। ছিনতাই, ডাকাতি, এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে মনে করছে প্রশাসন।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানাড়পাড় বাসস্ট্যান্ডে এক পুলিশ সদস্যকে ‘ভুয়া পুলিশ’ গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন জানান, ৫ আগস্টের পর এক মাস পুলিশের অনুপস্থিতি অপরাধ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় টহল ও নিয়মিত পুলিশিং জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে যোগদানের পর থেকে পুলিশিং কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়েছে। এখন আমরা ফুল ফিল্ডওয়ার্কে আছি। যদিও যানবাহন সংকটে টহল সীমিত, তবুও অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আগে চারটি টহল বের হতো, এখন দুটি টহল কাজ করছে।”
অপরদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। জেনেভা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকা থেকে শতাধিক সন্দেহভাজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!