গত সোমবার (১ এপ্রিল), গাইবান্ধা শহরের এস কে এস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র জোবায়ের রহমান জামিল (১৮) এক নারী ও তার শিশু সন্তানকে ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ট্রেনের ধাক্কায় জোবায়ের ও ওই নারী মারা যান, তবে শিশুটি বেঁচে যায়।
জোবায়ের যখন দেখতে পান যে নারীটি তার সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে আছে, তখন সে দ্রুত তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। ট্রেনটি খুব কাছে চলে আসায় শিশুটিকে বাঁচাতে পারলেও, জোবায়ের ও নারীটি ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন এবং মারা যান।
জোবায়েরের এই সাহসিকতার জন্য সকলেই তাকে প্রশংসা করছেন। অনেকেই তাকে "মৃত্যুঞ্জয়ী" আখ্যা দিয়েছেন। জোবায়েরের স্মৃতি ধারণ করে গাইবান্ধা শহরের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে।
জোবায়েরের মৃত্যতে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসী শোকে কাতর। জোবায়েরের বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তার ছেলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত।
জোবায়েরের মৃত্যু বেদনাদায়ক হলেও, তার সাহসিকতা আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। অন্যের প্রাণ বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দেওয়া জোবায়ের বাস্তবতার প্রতীক।
জোবায়েরের মৃত্যুর পর তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সরকার, জোবায়েরের স্মৃতিতে একটি স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জোবায়েরের সাহসিকতার ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
জোবায়েরের মতো সাহসী তরুণদের মতো মানুষই সমাজের মেরুদণ্ড। তাদের সাহসিকতা আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!