জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় স্ত্রী তিথী বেগমকে হত্যার দায়ে আহসান হাবিবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশের সময় ২৯ বছর বয়সী আহসান হাবিব আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আহসান ও তিথী বেগমের বিয়েটি ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে হয়। বিয়ের দুই বছর পর হাবিবের পরিবারের পক্ষ থেকে তিথীর পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। ওই টাকা না দেওয়ার কারণে তিথীকে প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। স্থানীয় সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও নির্যাতন থামেনি। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল রাতে তিথীকে মারধরের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনার পর তিথীর মামা আব্বাস আলী ইসলামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজকের রায়ে বিচারক আসামির মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মামলায় সাক্ষী হিসাবে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আসামি আহসান আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আইনজীবীদের মতে, এই রায় নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!