ইমরান হক, চাঁদপুর প্রতিনিধি:
স্বাধীনতার পর থেকে মতলব – গজারিয়া সেতু বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছে এ এলাকার জনগণ। দীর্ঘদিনের এ দাবী বাস্তবায়ন হতে চলছে। গতকাল একনেক সভায় এ সেতুর অনুমোদন হওয়ার কথা শুনতেই মতলব তথা চাঁদপুর জেলার মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে মতলবের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দের এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সেতু অনুমোদন করায় চাঁদপুর – ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
একনেকে অনুমোদন পেয়েছে চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাকে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মিত হবে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটিই হতে পারে বর্তমান সরকারের মেয়াদে শেষ একনেক সভা। সভায় চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের প্রস্তাব উত্থাপনের পর তা অনুমোদন লাভ করে।
চাঁদপুরে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। এর আওতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু নির্মিত হবে। প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সাধারণত প্রকল্পের মেয়াদ একনেকে পাস করার আগে থেকে শুরু হয়। তবে এই প্রকল্প পাস হয়ে থাকবে, পরে কাজ শুরু হবে।
চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল, এছাড়া তিনি ৫ বার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমি মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর বরাবর সেতুর জন্য ডিও লেটার দেওয়ার পর ওনি সেতু বিভাগের সচিব মনজুরুল আলম এবং যুগ্ম সচিব ভিখারদ্দৌলা চৌধুরী কে সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন সেতুটি নির্মাণ হলে সর্বসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!