পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আফরোজা আক্তার রিতু (১৯) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের সহায়তায় হোটেলের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে আফরোজা আক্তার রিতু দুই যুবক ও এক তরুণীর সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় তারা কুয়াকাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সি-বিচ হোটেলের (৫০১ নম্বর) সুইট রুম ভাড়া নেন। গত রাত পর্যন্ত তারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিলেন। শনিবার দুপুরে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে, কক্ষের দরজা ভেতর থেকে আটকানো থাকায় পুলিশের ডাকাডাকিতেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আফরোজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আফরোজা আক্তার রিতুর বাড়ি যশোর জেলার চোকদাপপাড়া থানার বেজপাড়া গ্রামে। হোটেলের রেকর্ড অনুযায়ী, তার স্বামীর নাম ইছা মীর লেখা ছিল। ঘটনার সময় তার সঙ্গীরা অন্য রুমে ছিলেন বলে তারা দাবি করছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হোটেল নিউ সি-বিচ ইন এর ম্যানেজার রুমান মৃধা বলেন, "হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী ডায়েরি করে তাদের কাছে রুম ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তাদের আচার-আচরণেও কোনো খারাপ কিছু দেখা যায়নি। তবে আজ হঠাৎ চিৎকার শুনে রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পাই এবং সামনে বাকি তিনজন বসে ছিল। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।"
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় আফরোজার সঙ্গীরা পালানোর চেষ্টা করলে হোটেল কর্মচারীরা তাদের আটক করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম, কক্ষটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেকবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং সঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।"
ঘটনাটির বিষয়ে পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!