কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে নূরুল ইসলাম (৫২) নামে এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে মাটি চাপা দিয়ে রাখার অভিযোগে নোয়াজ আলী (৫৫) নামে আরেক দিনমজুরকে আটক করেছে পুলিশ। চার দিন আগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এলাকাবাসী তীব্র দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে নূরুল ইসলামের ভাড়া করা টিনের ঘরের মাটির গর্ত থেকে একটি মানুষের হাত বেরিয়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মাটি খুঁড়ে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত নূরুল ইসলাম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বরকান্দি গ্রামের প্রয়াত মকলেস মিয়ার ছেলে। তিনি পিরোজপুর এলাকায় ভাড়া করা একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন এবং দিনমজুরের কাজ করতেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নোয়াজ আলী জানান, প্রায় চার বছর আগে নূরুল ইসলামের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতা তৈরি হয়। নোয়াজের দাবি, নূরুল ইসলামের তাবিজের কারণে তার ছেলে শিমুল মারা যায় এবং কিছুদিন পর তার স্ত্রীও পুত্রশোকে মারা যান। এই ঘটনাগুলোর প্রতিশোধ নিতে নোয়াজ আলী গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় ঘুমন্ত নূরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং মরদেহ ঘরের মেঝেতে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন।
দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নোয়াজ আলী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন এবং শুক্রবার বিকেলে তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!