পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। মাত্র ৪০ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার চাচির বিরুদ্ধে। আর বিয়ের পাত্র একজন চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি।
শিশুটির পরিবারের দাবি, স্থানীয় বালিয়াতলী ইউনিয়নের লেমুপাড়া গ্রামের শিপন হাওলাদারের কাছ থেকে চার মাস আগে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন তার বাবা। নির্ধারিত সময়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শিশুটির চাচি জাহানারা কৌশলে তাকে বেড়ানোর কথা বলে প্রথমে লেমুপাড়ায় নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর কলাপাড়া শহরের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে বিয়ে দেওয়া হয় শিপনের সঙ্গে।
দুইবার ঘর থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা
শিশুটির বাবা-মা আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের পরও তারা তাদের মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু এরপরও দু'বার চাচি জাহানারা ও শিপন এসে শিশুটিকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের বাধার মুখে ব্যর্থ হলেও পরিবারটি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
তবে অভিযুক্ত শিপন ও জাহানারা পুরো ঘটনাকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন। তাদের ভাষ্য, “টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে।”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমাদের কানে এসেছে, দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এমন ঘটনা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও বাড়তে পারে। শিশুটির পরিবার এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও ন্যায়বিচার চায়।
লগইন
ঋণের টাকা শোধ করতে না পারায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে - অভিযুক্ত চাচি ও চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি । ছবি সংগৃহীত
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!