স্টাফ রিপোর্টার - ইমরান হক।।
দেশজুড়ে নাশকতার ছক আ.লীগের’ শিরোনামে গত ২৮ জুলাই দৈনিক আমার দেশে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাশকতা চালানোর জন্য কর্মশালার নামে নিষিদ্ধ আ.লীগ ও ছাত্রলীগের ৪০০ ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্বে ছিলেন মেজর সাদেকুল হক সাদেক। ইতোমধ্যে মেজর সাদেকের বিরুদ্ধে আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সম্পৃক্ততার সত্যতা পেয়েছে আইএসপিআর।
শুক্রবার (১আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই ওই কর্মকর্তাকে তার নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যে একটি আদালত গঠন করা হয়েছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত সমাপ্তি সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে। এছাড়াও তার কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকা সংক্রান্ত বিষয়ে আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশক্রমে সেনা আইন অনুযায়ী দায় নিরূপণে (Command Responsibility) প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত রয়েছেন মেজর সাদেক। সাদেক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।
আর সরকার উৎখাতের এ পরিকল্পনার বিষয়টি কলকাতায় বসে সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাকে সহযোগিতায় সেখানে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আ.লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনায় কৌশলগত সহযোগিতা করছেন দিল্লিতে অবস্থান করা পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!