মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হালাল পণ্যের প্রদর্শনী ‘মিহাস ফেয়ার ২০২৫’। ৯০টি দেশের ২ হাজার ৩০০টির বেশি স্টলের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড প্রাণ অংশ নিয়েছে তাদের ৫০০–এর বেশি পণ্য নিয়ে।
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে (মিটেক) বুধবার সকালে শুরু হওয়া এ মেলায় প্রাণের দুটি স্টলে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেতা–দর্শনার্থীরা। পণ্যের তালিকায় রয়েছে স্ন্যাকস, জুস, ড্রিংকস, নুডলস, সস, বিস্কুট, চকলেট, বাবলগাম, ক্যান্ডি ও বিভিন্ন কনফেকশনারি পণ্য।
সিঙ্গাপুরের এক পাইকারি ব্যবসায়ী শিবা মেলায় প্রাণের নুডলস খেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তিনি সিঙ্গাপুরে প্রাণের নতুন পণ্য বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, “প্রাণের কারি ফ্লেভারের নুডলস বেশ ভালো লেগেছে। নেসলের পাশাপাশি এখন প্রাণেরও একটি কনটেইনার অর্ডার দেওয়ার কথা ভাবছি।”

প্রাণের একমাত্র মালয়েশীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিনাকল ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এবারের মেলায় কোরিয়ান নুডলস, বিভিন্ন বিস্কুট ও বাসিল সিড ড্রিংকসের মতো নতুন পণ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আশা, শুধু এই মেলা থেকেই প্রায় ২০ লাখ ডলার সমমানের রপ্তানি আদেশ মিলবে।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থী অংশ নেবেন। হালাল খাদ্য ও পানীয়, প্রসাধনী, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ইসলামিক অর্থায়ন, ফ্যাশন ও মুসলিমবান্ধব পর্যটন—সব মিলিয়ে এক সমন্বিত বৈশ্বিক হালাল অর্থনীতির প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে মিহাস।
প্রাণ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বের প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল বাজারে প্রবেশের বড় সুযোগ তৈরি করছে এই আয়োজন। মালয়েশিয়ার পাশাপাশি ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকার বাজারেও পণ্য সম্প্রসারণে জোর দিচ্ছে তারা।
২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত মিহাসে ২০১৩ সাল থেকে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে প্রাণ। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গালফ ফুড ফেয়ার, জার্মানির আনুগা, ফ্রান্সের সিয়ালসহ বিশ্বের খ্যাতনামা খাদ্য প্রদর্শনীতেও অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশি এই ব্র্যান্ড।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!