আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার ওপেক সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে মাদুরো অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিশাল তেলসম্পদ ‘দখল’ করতে চাইছে। তার দাবি, এই আগ্রাসন বিশ্ব জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।
টেলেসুরে প্রকাশিত ওই চিঠিতে মাদুরো ওপেক ও ওপেক প্লাস দেশগুলোর কাছে ‘ভূখণ্ড, জনগণ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সামরিক শক্তি ব্যবহারের’ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও করেন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল মজুত থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি নামমাত্র ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে—যা অন্যান্য বড় তেল উৎপাদনকারী দেশের তুলনায় অনেক কম।
চিঠির আগের দিন ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দাবি করেন, ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’। তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ভেনেজুয়েলা তার এই বক্তব্যকে ‘ঔপনিবেশিক হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেয়।
মাদুরো সরকার বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর মূল লক্ষ্য হলো ভেনেজুয়েলার তেল ও গ্যাসসম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। ওয়াশিংটন অবশ্য দাবি করে, এসব কার্যক্রম মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ। তবে সমালোচকদের বক্তব্য, ভেনেজুয়েলা থেকে আসা মাদকের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব তথ্য অনুযায়ী খুবই কম।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কথিত মাদকবাহী জাহাজে অন্তত ৮৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে—যা মানবাধিকার সংগঠনগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে। পাশাপাশি ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি রয়ে গেছে; এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ, বিপুল সংখ্যক সেনা ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।
লগইন
ট্রাম্পের ‘হুমকি’ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক জোটের সহায়তা চাইলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!