মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণে মাত্র একদিন বাকি। ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় সাত কোটির বেশি ভোটার আগাম ভোট প্রদান করেছেন।
বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের তুলনায় সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। আজ রবিবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প উত্তর ক্যারোলিনায় চূড়ান্ত নির্বাচনী প্রচারণায় ৯০ মিনিটের ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এখন অধিকৃত দেশ, তবে শিগগিরই তা আর থাকবে না। ৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিন আমেরিকার মুক্তির দিন।”
ট্রাম্প আরও জানান, “আমি কঠোর পরিশ্রম করছি কারণ আমাদের জিততে হবে।” তবে, ট্রাম্পের পরাজিত হলে তিনি আবারও ঝামেলা করতে পারেন, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তার প্রতিপক্ষ। ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল এখনও মেনে নেননি ট্রাম্প, এবং তার সমর্থকদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, সেই নির্বাচন তাদের কাছ থেকে চুরি করে নেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রিপাবলিকান শিবির নির্বাচনে ‘চুরি’ যাতে না ঘটে, সে বিষয়টিকে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্পের ‘চুরি থামাও’ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা পরিকল্পনা করে রেখেছে কীভাবে ফলাফল পাল্টাতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস ভোটারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাতিল করে দিতে পারেন।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!