স্টাফ রিপোর্টার - ইমরান হক।।
আফগানিস্তানে নতুন করে আইন প্রণীত হয়েছে যা অনুযায়ী নারীদের বাইরে বের হলে মুখ ঢাকার এবং পুরুষদের দাঁড়ি রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ, গান শোনা নিষিদ্ধ, পুরুষ সঙ্গী ছাড়া কোনও গাড়ি চালক নারীকে পরিবহন করা যাবে না, মিডিয়াগুলিকে শরীয়াহ আইন অনুসরণ করতে হবে এবং জীবন্ত কিছুর ছবি প্রকাশ করা যাবে না।
বুধবার (২১ আগস্ট) এই নতুন ৩৫ ধারার আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়। আফগানিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুপ্রিম নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশনা এবং শরীয়াহ আইন অনুসারে এই আইন প্রণীত হয়েছে। আইনটির কার্যকরিতার দায়িত্বে থাকবে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়।
আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বারাকাতুল্লাহ রাসুলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই আইন অনুযায়ী নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয় ভালো কাজগুলো প্রচার করবে এবং খারাপ কাজগুলো ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী প্রতিরোধ করবে।
নতুন আইন অনুযায়ী, নারীদের বোরকা পরে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক, পুরুষদের দাঁড়ি রাখতে হবে এবং কেউ নামাজ ও রোজা বাদ দিতে পারবেন না।
আইন ভঙ্গের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শাস্তি আরোপ করা হবে যেমন, পরামর্শ দেওয়া, সতর্ক করা, মৌখিক হুমকি দেওয়া, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, তিন থেকে চার দিন কারাদণ্ড দেওয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদান করা হবে।
যদি এসব শাস্তি দেওয়ার পরেও কেউ না শোধরায়, তাহলে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আগের থেকেই নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয় এসব নিয়ম কার্যকরের চেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে আটকৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
আফগানিস্তানের নতুন শাসক তালেবান জানিয়েছে, তারা শরীয়াহ এবং স্থানীয় রীতিনীতি অনুযায়ী নারীদের অধিকারকে সম্মান জানাবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা-সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। এর পর থেকে নারীদের প্রতি ও বাক্স্বাধীনতার ওপর তালেবানের আরোপিত বেশ কিছু বিধিনিষেধ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও বিদেশি সরকারের কাছে সমালোচিত হয়ে আসছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!