নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে অবস্থিত নেক্সট ভেঞ্চারস বাংলাদেশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ফিন এআই এজেন্টের বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে দুই দিনের এক প্রযুক্তি কর্মশালা। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই কর্মশালায় এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, বাস্তব রূপান্তর এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ সক্ষমতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নেক্সট ভেঞ্চারস বাংলাদেশ ও বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি ইন্টারকম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে ইন্টারকমের পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল অংশ নেয়।
ফিন এআই এজেন্ট কীভাবে কাজ করে?
‘ফিন’ হলো একটি অত্যাধুনিক Agentic Support AI, যা শুধু তথ্য সরবরাহই নয়, বরং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সমস্যা বুঝে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান দিতে পারে। এটি ব্যবহারকারীর ধরন চিনে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিখে আরও নিখুঁত সেবা দিতে সক্ষম।
এক সময় যে কাজ করতে সময় লাগত ১০ মিনিট, তা এখন ফিন এআই মুহূর্তেই সম্পন্ন করতে পারে—এমনটাই জানালেন নেক্সট ভেঞ্চারস বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রযুক্তি) তানজিম হাসান।
প্রযুক্তির মূল শক্তি: মডেল কনটেক্সট প্রটোকল (MCP)
কর্মশালায় আলোচনায় উঠে আসে মডেল কনটেক্সট প্রটোকল (MCP), যা এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি বড় মাইলফলক। MCP-এর মাধ্যমে একাধিক এআই এজেন্ট একই তথ্যভান্ডার ও স্মৃতি ব্যবহার করে মানুষের মতো পূর্ব আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইন্টারকম ইতিমধ্যে MCP সমর্থিত ক্লায়েন্ট সার্ভার চালু করেছে এবং নেক্সট ভেঞ্চারস নিজস্ব MCP সার্ভার তৈরির কাজ করছে।
বাংলাদেশে প্রথমদিকের পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী
নেক্সট ভেঞ্চারস বাংলাদেশ বর্তমানে ফিন এআই এজেন্টের ক্লোজড বিটা অ্যাকসেস সুবিধা পেয়েছে, যা বিশ্বের সীমিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য চালু করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারকমের ৩০ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারীর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এন্টারপ্রাইজ কাস্টমার, যারা ১৭০টিরও বেশি দেশে গ্রাহকসেবা দিচ্ছে।
এআই যখন সিদ্ধান্ত নেয়
ফিন এআই এজেন্টের বিশেষত্ব হলো—এটি শুধুই প্রশ্নের উত্তর দেয় না, বরং নিজেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এটাই একে প্রচলিত চ্যাটবট বা কনভেনশনাল এআই থেকে আলাদা করে।
বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমঞ্চে
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইন্টারনেট বিপর্যয়ের সময় বাংলাদেশের ৩২ জন কর্মীকে নেপালে নিয়ে গিয়ে ফিন এআই-এর মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহকসেবা চালিয়ে যায় নেক্সট ভেঞ্চারস। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাস, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় তাদের অপারেশনাল হাব রয়েছে।
ইন্টারকমের জ্যেষ্ঠ পরিচালক কিয়ারান নোলান বলেন, “নেক্সট ভেঞ্চারস বাংলাদেশের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। শপিফাই ও স্ট্রাইপের মতো বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানের মতোই তারা ক্লোজড বিটা সুবিধা পেয়েছে।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!