রবিবার তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা হাতে ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন— “সব জিম্মিকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনো।” অনেকে বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেন এবং যুদ্ধ অবসানের পাশাপাশি বন্দিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন দাবি করেন।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্যমতে, সাম্প্রতিক অভিযানে অন্তত ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার বড় অংশ গাজা শহরে। এ পরিস্থিতি বিক্ষোভকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তিনি নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে বন্দিমুক্তির জন্য দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। তাদের আশঙ্কা, চুক্তি বিলম্বিত হলে বন্দিদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।

তবে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভি ও তার কট্টরপন্থি সহযোগীরা এ ধরনের চুক্তির বিরোধিতা করছেন। তাদের দাবি, হামাসকে পরাজিত না করে যুদ্ধ শেষ করার কোনো সুযোগ নেই। নেতানিয়াহুর সরকার এসব কট্টরপন্থি দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আলোচনার পথ জটিল হয়ে উঠেছে।

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ট্রাম্প আগে গাজা নিয়ে চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেছিলেন, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।