ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে আমেরিকা ও ব্রিটেন নতুন করে যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে। সোমবার রাতে এই হামলা চালানো হয়।
হামলায় হুথিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্ল্যাটফর্ম, বিমান নজরদারি সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
হুথি-চালিত আল মাসিরাহ টিভি ইয়েমেনের রাজধানী সানা, তাইজ এবং বায়দা প্রদেশে হামলার খবর দিয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর কাছে অবস্থিত আল-দাইলামি বিমানঘাঁটিও রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন একটি যৌথ বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের দাবি, তারা ‘বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ’ রক্ষার চেষ্টা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের লক্ষ্য উত্তেজনা হ্রাস করা এবং লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা, তবে আসুন আমরা হুথি নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সতর্কতা পুনর্ব্যক্ত করি: আমরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চলে জীবন এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করতে দ্বিধা করব না। ক্রমাগত হুমকির মুখে গুরুত্বপূর্ণ এই পানিপথ।”
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি অষ্টম হামলা। আর গত ১১ জানুয়ারি যৌথ হামলা চালানোর পর এটি যুক্তরাজ্যের সাথে দ্বিতীয় যৌথ অভিযান। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে।
জানা গেছে, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ারের যুদ্ধবিমানগুলো সোমবারের হামলায় যুক্ত ছিল। আর চারটি আরএএফ টাইফুন যুদ্ধবিমান সোমবারের হামলায় অংশ নিয়েছে বলে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে।
হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল সম্পর্কিত জাহাজে হামলা চালানোর পর আমেরিকা ও ব্রিটেন এই হামলা চালায়। হুথিরা দাবি করে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, হুথিরা ইয়েমেনের জনগণকে দুর্ভোগে ফেলছে এবং লোহিত সাগরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে।
এই হামলার ফলে হুথিদের সামরিক ক্ষমতা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হুথিরা এখনও বেশ শক্তিশালী এবং তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!