আন্তর্জাতিক সুফি ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর উদ্যোগে এ পর্যন্ত ২ লক্ষ বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, খাগড়াছড়ি, ফেনী ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা বুড়িচং, ব্রাহ্মণ পাড়াসহ বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয় বলে জানানো হয়।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে জামা-কাপড়, চাল, ডাল, লবণ, সয়াবিন তৈল পেঁয়াজ, আটা, খিচুড়ি, শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, সাবান, মাস্ক, জীবানু নাশক, আলু, ছোলা, গুড়ো দুধ, চা পাতা, জরুরী ওষুধসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান পীর শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানীর উদ্যোগে গত ২১আগস্ট থেকে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), আনজুমানে রহমানিয়া মনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়া, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম ওলামা মাশায়েখ বোর্ড, মইনীয়া যুব ফোরাম, মাইজভান্ডার রহমানিয়া মইনীয়া মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র সংসদসহ তার পরিচালিত অন্যান্য সকল সংগঠনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সারাদেশের বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা ও খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট-২০২৪ইং) দিনব্যাপী ফেনী ও নোয়াখালী,লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় উপহার সামগ্রী বিতরণকালে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের আওতাধীন সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে ২০০ টি টিম উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন আর্ত মানবতার সেবায় এই কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এই দুর্যোগে বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষকে পূর্ণবাসনের প্রয়োজন হবে এবং পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধি দেখা দেবে। এই সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন বিশেষ করে এই বন্যায় কৃষকের বীজ তোলাসহ সবকিছু শেষ হয়ে যায়। পোল্ট্রি ফার্ম, গরুর ফার্ম, মৎস্য খামার হারিয়ে খামারি ও উদ্যোক্তারা দিশেহারা।
দেশের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ও বেকারত্ব দূরীকরণে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক সরবরাহ এবং পল্টি, গরু ও মৎস্য খামারীদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহজ শর্তে ঋণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়ার আহব্বান জানান। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন বিএসপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের কাউসার, ফেনী জেলা সভাপতি খলিফা মোহাম্মদ আবু তাহের, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তবারক হোসেন, দাগন ভুঁইয়া উপজেলা সভাপতি মোঃ শাহজাহান, ফেনী সদর উপজেলা সভাপতি মোঃ সোয়াইব হোসেন সোহাগ, ময়নীয়া যুব ফোরাম দাগনভূঞা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর নবী, আঞ্জুমান সভাপতি মোঃ মানিক হোসাইন প্রমুখ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!