এইচ এম আরিফ হোসেন/
চাঁদপুরে স্বল্প মূল্যে ও বিনা মূল্যে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এটি চাঁদপুর সদরের সাড়ে ৩ কি.মি.উত্তরে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে বিটি সড়কের পাশে। একজন গুণী ও মহীয়সী নারী কাজী লজ্জাতুন্নেসার নামে এই মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টার টি স্বল্পোন্নত জনগোষ্ঠীর মাঝে চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছে ।
হাসপাতালটি ২০১৭ সালে শুরু থেকেই অত্যন্ত সুনামের সাথে কম খরচে রোগীদের আধুনিক মানের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিয়ে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানান বিভিন্ন এলাকার অসহায় রোগীগণ।
কল্যাণপুর, তরপুরচন্ডী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ প্রায় দু’লাখ পল্লী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এই হাসপাতালটি। কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতালটি অত্যাধূনিক স্বাস্থ্যসেবায় সবরকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শিশু, সার্জিক্যাল, গাইনী, মেডিসিন, এন্যাসথিশিয়া বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটি ১৯ শতাংশ ভূমির ওপর তিন-তলা ভবন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেসরকারিভাবে নির্মিত হয়। ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি লজ্জাতুন্নেসা ফাউন্ডেশন নামক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
১১সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে হাসপাতালটি। যার পথচলা শুরু ৭ সেপ্টম্বর ২০১৭ সনে। ফার্মেসী, আউটডোর, ইনডোর, ডেলিভারী, প্যাথলজিক্যাল, ডায়াগণস্টিক, ইসিজি, এক্সরে, ওটি প্রভৃতি সেবা থাকছে। দু’জন পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসক, ৫ জন নার্স, ১০ জন আয়া ও ১ জন ফার্মসিস্ট সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন,ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো.হেলাল উদ্দিন ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ।
ব্যবস্থাপক কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন এই হাসপাতাল থেকে আমাদের বাণিজ্য করতে হবে সেই চিন্তা আমাদের নেই। আমরা বিনা বেতনে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এই গ্রামীণ অসহায় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে। যাদের টাকা পয়সা আছে তারা শহরে, ঢাকা সহ উন্নত সব স্থানে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারে।
আমরা নাম মাত্র খরচে এই অসহায় গরিব মানুষদের মাঝে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হওয়া শর্তেও সরকারী লাইসেন্স নবায়ন, ফায়ার সার্ভিসের ছাড় পত্র, মাদকের ছাড় পত্রের জন্য হয়রানি হতে হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ঘুষ চাড়া এই সব কাজ করা যায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের এই সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াবে বলে আমি বিশ্বাস করি। হাসপাতালের পাশাপাশি এখানে একটি এতিমখানা ,বাজার ও একটি মসজিদ পরিচালিত হচ্ছে।
ব্যবস্থাপক কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু আরও বলেন এ প্রতিষ্ঠানের সাথে যে সকল দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট সকল কর্তা-ব্যক্তিদের কাছে মানবিক কারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!