রাজশাহীর পবা উপজেলার বিভিন্ন হিমাগারে মজুত করা আলু নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত পাইকারি দামে আলু বিক্রির নির্দেশনার পরও বাজারে ৭০–১০০ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসনের অভিযানে এ সিন্ডিকেটের কার্যক্রম আংশিকভাবে থামানো সম্ভব হয়েছে।
- হিমাগারে মজুত ও মূল্য বৃদ্ধি
পবা উপজেলার হিমাগারগুলোতে আলু মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও সরকার নির্ধারিত পাইকারি দাম ৩৯ টাকা। স্থানীয় প্রশাসন দুটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আলু উদ্ধার করেছে।
- অভিযান ও প্রশাসনের ভূমিকা
গত রোববার ও মঙ্গলবার পবার আমান কোল্ড স্টোরেজ ও রহমান ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোট ২,৬০৬ বস্তা আলু উদ্ধার করে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়। অভিযানের সময় হিমাগারের কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত আলু নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশ দেয়।
- অস্থির বাজার ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, “আমাদের কাজ হিমাগার খালি করা এবং ভোক্তাদের কাছে সঠিক দামে আলু পৌঁছানো। প্রয়োজন হলে আমরা আরও কড়া পদক্ষেপ নেব।”
- ব্যবসায়ীদের দাবি ও ক্ষোভ
রাশেদুল হক নামের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন যে, আগের লোকসানের কারণে তিনি আলুর দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। তবে প্রশাসনের অভিযানের ফলে তাঁর মজুত করা আলু ৩৯ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।
- বাজার পরিস্থিতি
রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে এখনো আলুর দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। পুরোনো আলু ৭০ টাকা এবং নতুন আলু ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
- পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে
রাজশাহী জেলার ৪৩টি হিমাগারে এখনো বিপুল পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে সব হিমাগারে পরিদর্শন চালিয়ে নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করা হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!