অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ইচ্ছা ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিনি ব্যক্তিগত হতাশা ও দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। এরপর থেকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই ইস্যুতে জোর আলোচনা শুরু করে।
বিএনপির বার্তা স্পষ্ট:
“আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই না, চাই নির্বাচনের রোডম্যাপ”—বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করা হবে।
ইসলামী দলগুলোর ঐকমত্য:
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ ইসলামপন্থী দলগুলোও চায় ইউনূস নেতৃত্বে নির্বাচন হোক। তারা মনে করে, তাঁর পদত্যাগে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
গণ-অভ্যুত্থনের দল এনসিপির অবস্থান:
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির নেতারাও অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন দিয়ে তাঁর নেতৃত্বেই রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন চায়। তাদের মতে, সেনাবাহিনী, ইসি ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে দূরত্ব, ও প্রত্যাশিত সহযোগিতা না পাওয়াই ইউনূসের হতাশার কারণ।
মির্জা ফখরুলের মন্তব্য:
বিদেশে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া কি অপরাধ? আমরা দেশের স্থিতিশীলতা চাই।"
সংকট নিরসনে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান:
জামায়াত আমির শফিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীম পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
একনেক বৈঠনের দিকে নজর:
আজকের একনেক সভায় অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কিছু বলেন কি না, সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।
সংক্ষেপে বার্তা:
সব রাজনৈতিক পক্ষই চায় অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্বে থাকুন। তবে তাঁকে দ্রুত নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া ও সংলাপ ছাড়া সংকটের সমাধান অসম্ভব বলেও মত দিচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!