অনেক সময় আমরা খারাপ বা অন্যায় কিছু শুনলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে থাকি, "নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক", সংক্ষেপে "নাউজুবিল্লাহ"। তবে এই বাক্যটি শুধু কথার কথা নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া, যা আমাদের অন্যায়, গুনাহ ও ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
নাউজুবিল্লাহ অর্থ কী?
"নাউজুবিল্লাহ" শব্দটি আরবি থেকে এসেছে।
🔹 "নাউজু" অর্থ: আমি আশ্রয় চাই বা বিরত থাকতে চাই।
🔹 "বিল্লাহি" অর্থ: আল্লাহর কাছে।
🔹 "মিন জালিক" অর্থ: এই (খারাপ বা অন্যায় কাজ) থেকে।
অর্থাৎ, “আমি এই খারাপ কাজ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।”
নাউজুবিল্লাহ কেন বলা হয়?
যখন কোনো অন্যায়, পাপাচার বা ইসলামবিরোধী কিছু চোখে পড়ে কিংবা কেউ নিজে ভুলবশত খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন সঙ্গে সঙ্গে "নাউজুবিল্লাহ" বলা উচিত। এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং সেই গুনাহ থেকে মুক্তির আশ্রয় প্রার্থনা করি।
হাদিসের আলোকে নাউজুবিল্লাহর গুরুত্ব
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, শত্রুদের আনন্দ পাওয়া ও ভাগ্যের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাইতেন।
তাই, যখনই আমরা কোনো অন্যায় বা অশুভ কিছু দেখি, শুনি বা বুঝতে পারি, তখনই আমাদের উচিত "নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক" বলা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এটি শুধু মুখের কথা নয়, বরং সত্যিকারের হৃদয়ের অনুভূতি ও বিশ্বাস থেকেই বলা উচিত, যাতে আমরা সত্যিই গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারি।
- শেষ কথা
নাউজুবিল্লাহ বলার অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা অনেক অন্যায় ও গুনাহ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারব। এটি শুধু মুখের বুলি নয়, বরং আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার একটি কার্যকরী দোয়া। তাই, যেকোনো মন্দ কিছু দেখলে, শুনলে বা বুঝতে পারলে দ্রুত "নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক" বলার চেষ্টা করুন এবং আল্লাহর রহমত কামনা করুন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!