নামাজে সিজদা গুরুত্বপূর্ণ একটি রুকন। নামাজ আদায়ের জন্য সিজদা করতেই হবে। তবে শুধু সিজদা নয়, নামাজে আরও কিছু রুকন রয়েছে। সেগুলো হলো দাঁড়ানো, কিরাত পড়া, রুকু করা, সিজদা করা এবং শেষ বৈঠক করা।
নামাজের প্রতিটি রুকনেই নির্ধারিত দোয়া রয়েছে। দুই সিজদার মাঝের সময়টাতেও একটি বিশেষ দোয়া পড়তে হয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুই সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে বসে এই দোয়া পড়তেন:
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَعَافِنِيْ وَاهْدِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
(উচ্চারণ: রব্বিগ ফিরলি ওয়ার হামনি ওয়া আফিনি ওয়াহদিনি ওয়ারজুকনি।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।
এই দোয়ার প্রসঙ্গটি সুনানে নাসাঈসহ অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে এসেছে। (তিরমিজি, হা/২৮৪; আবু দাউদ, হা/৮৫০; নাসাঈ, হা/৮৯৮)
রুকু থেকে উঠে যে দোয়া পড়তে হয়
রুকু থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময় ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলবেন, তখন মুক্তাদিদের জন্য رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলা উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ইমামের এই দোয়ায় মুক্তাদিদের সাড়া দেওয়া উচিত।
ইচ্ছা করলে এর সঙ্গে আরও একটি দোয়া পড়া যায়:
حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ
এছাড়াও হাদিসে আরও একটি দীর্ঘ দোয়া পড়ার কথা এসেছে, যা বিশেষত তাহাজ্জুদ ও নফল নামাজে পড়া হয়:
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءُ السَّمَاءِ، وَمِلْءُ الْأَرْضِ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ...
ফকিহগণ উল্লেখ করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এসব দীর্ঘ দোয়া সাধারণত নফল বা তাহাজ্জুদ নামাজে পড়তেন।
বিশেষ পরামর্শ
নামাজে এই গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে ইবাদতের মান উন্নত হয় এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। নিয়মিত নামাজে এই দোয়াগুলো পড়ার অভ্যাস করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!