সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রণভূমি গ্রামে ধান পুড়ানোর ঘটনায় নাম জড়িয়ে অভিযোগ করায় প্রতিবাদ করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিবাদ করেছেন রণভূমি গ্রামের বাসিন্দা আশিক মিয়া ও তার পক্ষের লোকজন।
আশিক মিয়া ও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শফিক চৌধুরী বলেন, গত কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামের কালা শাহ মিয়ার ধান কে বা কারা রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
আমরা প্রকৃত দোষীদের বিচার চাই। এ নিয়ে প্রথম থেকে আমরা সোচ্ছার ছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরে শুনি, ধান পুড়ানোর ঘটনায় আমরা জড়িত মর্মে কালা শাহ আমাদের নাম ব্যবহার করে নানান ব্যক্তব্য দিচ্ছে এবং থানায় আমাদের নামে একটি অভিযোগ করার কথাও শুনেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আমরা তাদের এমন বক্তব্যের ও কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তারা আরোও বলেন, গত ৯ মার্চ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কালাশাহ পক্ষের সাথে আমাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আমাদের পক্ষের ১৮ জনকে আহত করেছিলো তারা। এঘটনায় দিরাই থানায় আমরা একটি মামলা দায়ের করেছিলাম। সেই ঘটনার জেরে তারা নিজেরাই ধান পুড়িয়ে থাকতে পারে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগকারী কালা শাহ বলেন, ১২ কিয়ার (৩০ শতকে এক কিয়ার) জমি কেটে মাড়াইয়ের জন্য হাওরে স্তুপ করে রেখেছিলাম।
ধান পাহাড়া দিতে আমি ও আমার ভাই ছাদ উদ্দিন ধানের স্তুপের কাছে ঘুমিয়ে ছিলাম। গত শুক্রবার রাতের আঁধারে শফিক, রুবেল, ছত্তার ও পাবেলসহ ১০/১২ জন লোক আমাকে ও আমার ভাই ছাদ উদ্দিনের হাত, চোখ বেঁধে আমাদের ধান পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্তদের স্বচক্ষে দেখার পরও প্রথমদিন কারো নাম নিলেন না কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে দু’চারজনকে চিনতে পেরেছি। বাকীদের নাম তো বুঝেশুনে বলতে হবে। ঘটনার আরও বিস্তারিত জানতে কালা শাহ পক্ষের লোক শাহ জাহানের বক্তব্য নিতে তার বাড়ি ও ধান খেতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ধান পুড়ানোর ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বরাম হাওরে স্তুপ করা ধানের মুটিতে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!