ডিসেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসীদের পাঠানো আয় থেকে দেশে এসেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে এসেছে প্রায় ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার ডলার। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা।
ডলার কেনার দামে প্রভাব
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী, চলতি মাসে পুরোনো আমদানির দায় পরিশোধে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো বাজারে ডলারের জন্য উচ্চমূল্য প্রদান করছে, যার ফলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংক ১২৪ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে।
• সোনালী এক্সচেঞ্জ: ১২৪ টাকা
• রিয়া মানি এক্সচেঞ্জ: ১২৪ টাকা ১৮ পয়সা
• টেপটেপ সেন্ড: ১২৪ টাকা ৭০ পয়সা
• ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন: ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা
এতে দেশে আসা রেমিট্যান্সের সঙ্গে আমদানিকারকদের বেশি দামে দায় শোধ করতে হচ্ছে।
আগস্ট থেকে বৃদ্ধি, নভেম্বরেও উর্ধ্বমুখী প্রবণতা
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত আগস্ট থেকে রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।
অক্টোবরেও এসেছে ২৩৯ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
• সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ডলার
• আগস্ট: ২২২ কোটি ডলার
জুনে ছিল সর্বোচ্চ আয়
চলতি বছরের জুনে সর্বোচ্চ ২৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা গত তিন বছরের মধ্যে একক মাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
দেশের ডলার সংকট কমাতে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ
প্রবাসী আয় দেশের ডলার সরবরাহের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। এই আয়ের বিপরীতে বিদেশি মুদ্রা খরচ বা দায় শোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ে ডলার এলেও কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়। অন্যদিকে, বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে রেমিট্যান্স যত বাড়বে, দেশে ডলার সংকট তত কমবে।
ব্যাংক খাতের প্রত্যাশা
চলতি মাসের বর্তমান প্রবণতা ধরে রাখতে পারলে রেমিট্যান্স আয়ের নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫০ কোটি ডলারের মাইলফলক পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় ব্যাংক খাত বেশ আশাবাদী।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!