গ্রামবাংলার শীতকালীন ঐতিহ্য পিঠাপুলি। শীতকালে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই পিঠাপুলির মধুর ঘ্রাণেই মুখরিত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টারের ফুড লাভার্স এন্ড পার্টি সেন্টারে শুরু হয়েছে এ পিঠা উৎসব।
হাজীগঞ্জ ফোরাম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঙ্কজ কুমার দে বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান পিঠাপুলি। এ পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন আমাদেরকে সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। এটা শুধু একটি উৎসব নয়, এটা নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার মাঝে নির্মল আনন্দের খোরাকও। তাই আবহমান বাংলার সংস্কৃতির চিরন্তন উপাদান তুলে ধরার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
উৎসবে ইশার পিঠা ঘর, রাধুনী মার্ট, সাজদা দি কেক স্টোরি, আনিশা পিঠা ঘর, গোপাল ঘর, ফুডপিক, সাথী শখের হাঁড়ি ঘর, নবান্ন পিঠা ঘর, শিউলী ফুড জোন, ইয়াম্মি কেক, মারিয়া ইয়াম্মি ক্যার্ভেস, দিয়া ফ্যাশনসহ নারী উদ্যোক্তাদের ২০টি স্টলে প্রায় শতাধিক পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন উপজেলার পিঠাশিল্পীরা।।
উৎসবে প্রদর্শিত পিঠার মধ্যে রয়েছে নকশি পিঠা, কদম পুলি, ডিম সুন্দরী, ভাপে রোল, বল পিঠা, ইলিশ পিঠা, আস্কে পিঠা, নারকেল পুর, তিলের পিঠা, লাচ্ছা পিঠা, মুগ পাকন, তিলে ডোনাট, তালের কোন ছাইন্না পিঠা, ডিম চপ, লিচু পিঠা, ফুড কাস্টার, মেমো, শিউলী ফুলের পিঠা, তালের বরা, শাহি পায়েস, ঝাড় কেক, পাটি সাপটা, কমলা পিঠা, চিংড়ি মাছের পিঠা, নারকেল পুলি ডিম পুলি, নারকেল পাক্কন, সবজি পাকড়া, সুজির পিঠা, ফুল পিঠা, চিতল পিঠার পায়েস, তিল পিঠা, কাউনের চালের মিস্টান্ন।
এছাড়াও রয়েছে ক্ষিরের সন্দেস, ভাপ পুলি, চিড়া মোয়া, নারকেল বাটা, কুচার সন্দেশ, ক্ষীরের পাটি সাপটা, ভাজা পুলি, সেমাই পিঠা, ঝালের নাড়ু, ডিমের পিঠা, পুডিং, ক্ষীর পাটি, খেজুর রসের পায়েস, তিল পুলি পিঠা, চিকন রোল, ডিমের কেক, কাপ কেক, জেনাট কেক, রেড ভেলবেট, অরেঞ্জ কেক, মিনি কেক, বেন্টু কেক, জার কেক, মিনি কেক, মালাই কেক, ক্রীম কুনফো, নবাবি সেমাই, পোয়া পিঠা, শিম ফুল পিঠা, গোটা পিঠা, এলোজেলে পিঠা, ছিড়ার মোয়া, নাড়ু, চন্দ্র কাটা পিঠা, হাসের মাংস, চালের রুটি ও পায়েসসহ বাহারি পিঠা।
উৎসবে আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা কিনছেন এবং স্বাদ নিচ্ছেন। পিঠার দাম ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকছে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!