কুড়িগ্রাম, টানা বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপরে, ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার উপরে এবং চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে তবে এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
এই দ্বিতীয় দফা বন্যায় ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর অববাহিকার অনেক চর ও দ্বীপচর পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরে অবস্থিত বাড়িঘরগুলোতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে যেকোনো মুহুর্তে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়তে পারে।
চলমান বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে পাট, বাদাম, ভুট্টা, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট। এসব এলাকার মানুষ চরম বিপদে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
বর্তমানে বৃষ্টি থেমে গেলেও নদীতে পানি বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিন ধরে কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!