রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে মাদক নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ক্যাম্পাসে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি জানান, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। মাদকসেবী ও মাদক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ জানান, তারা ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে মাদকসেবী ও সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করার জন্য অভিযান শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্রমতে, রাবি ক্যাম্পাস গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা মাদকের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। দিনরাত বিভিন্ন স্থানে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। এতে নিয়মিত আসক্ত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। মাদকাসক্তির কারণে অনেকেই একাডেমিক পড়াশোনা পিছিয়ে পড়ছে, এমনকি বিভিন্ন অপকর্মেও জড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতির কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
উদ্বেগের সমাধানে, শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডোপ টেস্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাবছে। তবে দেশে এখন পর্যন্ত ডোপ টেস্ট নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ক শাখার প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম সাগর মনে করেন, শিক্ষার্থীদের মাদক সেবন থেকে বিরত রাখতে ডোপ টেস্ট কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে ডোপ টেস্ট চালু করতে পারে। নীতিতে মাদক পরীক্ষায় অপরাধীদের শাস্তির বিধানও রাখা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০ টাকা প্রদান করে। এই টাকা ব্যবহার করে ডোপ টেস্ট চালু করা সম্ভব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!