মোঃ সাইদুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।
বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটায় অবস্থিত আল-হেরা মডেল স্কুলে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। এসময় পিঠা পুলির ঘ্রাণে মুখোরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে আল-হেরা মডেল স্কুলে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জনাব তাপস চন্দ্র পাল (সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা)। প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম (উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল)।
উৎসবে ছিলো হরেক রকমের পিঠার আয়োজন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান ধরনের মুখরোচক পিঠা প্রদর্শনী করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা এবং ঐতিহ্য ধরা রাখাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য।
উৎসবে ছিল - ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের রসের পিঠা, ক্ষীর কুলি,গোলাপ ফুল পিঠা, রস পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছিট পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা। একেকটির স্বাদ একেক রকম।
দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে স্কুলে এসেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এসব পিঠার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে এ আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, এত রকমের পিঠা সবগুলো আমরা নিজ হাতেই বানিয়েছি। এ পিঠাগুলো তৈরিতে বাড়িতে মাসহ অন্যদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। অনেক পিঠার নাম আমরা জানতাম না। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পিঠাগুলো বানানো শিখলাম ও পিঠার নামও শিখতে পেরেছি। পিঠা উৎসব দেখতে আসা অভিভাবকরা বলেন, এমন আয়োজন দেখে মন ভরে গেছে। বেশ কয়েক রকমের পিঠা খেয়েছি। একেকটির স্বাদ ও মজা আলাদা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!