logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - রাজনীতি- ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ

১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ

১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ

স্টাফ রিপোর্টার - ইমরান হক।। 
ডিসেম্বর ’২৫-জুলাই ’২৬ নির্বাচন ইস্যুতে দেশের রাজনীতির আকাশে যে অনিশ্চয়তার কালোমেঘ জমাট বেঁধেছিল; লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকে তা কেটে গেছে। কোনো ভায়া-মিডিয়ার বৈঠক নয়, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের একান্তে বৈঠকে রমজানের আগে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তো বটেই সারাবিশ্বের গণমাধ্যমের চোখ ছিল লন্ডন বৈঠকের দিকে। বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয় তা নিয়ে একদিকে ছিল উত্তেজনা অন্যদিকে ছিল প্রত্যাশা-আশাবাদ। দীর্ঘ আলোচনার পর দুই নেতা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। বৈঠকে তারেক রহমান রমজানের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিলে ড. ইউনূস জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, শিগগিরই নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে এটা প্রায় চূড়ান্ত। ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। নির্বাচন করতে হলে তার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ আগেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রোজার আগের সপ্তাহে ভোটের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার। এর আগেও একাধিক জাতীয় সংসদ নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এবার বৃহস্পতিবার ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হলে রোজার আগে ফলাফল প্রকাশ, গেজেট প্রকাশ এবং সরকার গঠনসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা বেশি।

লন্ডনের বৈঠক দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। লন্ডন বৈঠকে জনগণের ভোট দেয়ার দরজা খুলে গেল। লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকে প্রমাণ দেয়, যেকোনো সঙ্কট সমাধানে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক হওয়া শ্রেয়। ভায়া-মিডিয়া বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির ব্যক্তিদের সংলাপ করলে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা না থাকায় সফল্য আসে না। ২০০৭ সালে আবদুল জলিল ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এবং ২০১৩ সালে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এমনকি জাতিসংঘের বিশেষ দূত এসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছেন। কিন্তুবৈঠকের ফলাফল ছিল শূন্য।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ঈদের আগের দিন ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণায় জামায়াত মহাখুশি এবং কিংস পার্টিখ্যাত এনসিপি ঘুরিয়ে সমর্থন জানালেও দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বেঁকে বসে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবিতে অটল থাকে। রাজনীতির আকাশে কালোমেঘ জমতে শুরু করে। রমজান, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা, গরম, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিজ্ঞজনরা রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের উপযুক্ত সময় মতামত দেন। লন্ডনের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বিএনপি তথা দুই পক্ষ কিছুটা ছাড় দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠান সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরে গেছেন এবং সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় লন্ডন কার্যত হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতির তীর্থস্থান। অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা জামায়াত ও এনসিপির প্রতি দুর্বল। ওই দল দলের স্বার্থ রক্ষায় তারা বেশি তৎপর। এ জন্য বিএনপির ‘ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে’ এমন ঘোষণার পর আশঙ্কা করা হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টা দেয়া বৈঠকের প্রস্তাবে তারেক রহমান রাজি নাও হতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলন করে জানান, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি তা গ্রহণ করেছেন। বিএনপি থেকেও সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, ১৩ জুন লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক হবে। এরপর সবার চোখ যায় লন্ডনের দিকে। বৈঠকে কি কথা হবে, কারা থাকবেন এ নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষক। বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ পরামর্শ দেন, দুই নেতার আশপাশে চাটুকার রয়েছে; তারা নিজেদের স্বার্থে কানমন্ত্র দিতে পারেন। ফলে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক হলে ভালো। বৈঠক সফল হবে কি-না তা নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষের প্রত্যাশা ছিল ড. ইউনূস ও তারেক রহমান দু’জনই অভিজ্ঞ মানুষ। দেশের গণতন্ত্রের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না; বৈঠক সফল হবে। বৈঠকে অংশ নেয়া দুই পক্ষের কমন শত্রু আওয়ামী লীগ ও ভারত। দুই পক্ষই জুলাই চেতনা ধারণ করেন। ফলে নিজেদের মধ্যে বিরোধ করে ভারত ও আওয়ামী লীগের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে কেউ রাজি হবে না। হলোও তাই। ভেতরে বৈঠক চলছে বাইরে টান টান উত্তেজনা। বিদেশ বিভুঁইয়ে হাজার হাজার মানুষ। অতঃপর খবর আসে বৈঠকে দুই পক্ষ ছাড় দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইতিহাস সৃষ্টি করা বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছে। যৌথ বিবৃতি দেয়ার পাশাপাশি যৌথ সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারেক রহমান বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি (তারেক রহমান) এও উল্লেখ করেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। এমন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, তিনি এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে তারেক রহমান স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।

পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও আবার নির্বাচনের তারিখ প্রসঙ্গে কী আলোচনা হলো জানতে চান সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনী রোডম্যাপে নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্যা কোথায়? এর জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা কোনো সমস্যা দেখি না। কেউ দেখলে ভুল দেখছেন। নির্বাচন সম্পর্কে যৌথ বিবৃতিতে আমরা বলে দিয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আমরা আশা করব, শিগগিরই তারা একটি তারিখ ঘোষণা করবে।’

বৈঠকে শুধু নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে, নাকি রাজনৈতিক অন্যান্য বিষয়েও কথা হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটি করব। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐক্যমত হয়েছি, তা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সংস্কার নিয়ে বর্তমান সরকারের যে রূপরেখার তালিকা দিয়েছে সেটি নিয়ে বিএনপি কী ভাবছে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘এটা পরিষ্কার, এখানে না বোঝার কোনো কারণ নেই। সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, তারেক রহমান সবাই একই কথা বলছেন।



 যে বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলোতেই তো সংস্কার হবে, তাই না? সংস্কারের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। এমন না যে সব সংস্কার এখনই শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার হবে, নির্বাচনের পরেও কিছু সংস্কার অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত উনি নেবেন সময়মতো।’

এপ্রিলের ঘোষিত নির্বাচনি রূপরেখা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সরে আসছে কি-না জানতে চাইলে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ‘যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট বলা আছে। যদি সব কাজ আমরা সময়মতো করতে পারি, বিচার এবং সংস্কারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে নিশ্চয় সেটি করা হবে।’





প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে উভয়পক্ষই সন্তেুাষ প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট। আমরা তো বলছি, নির্বাচনের আগেই না, নির্বাচনের পরেও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। আর সন্তুষ্ট না হলে যৌথ ঘোষণা আসত না।

এসময় ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠকে কোনো আলাপ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে এবং সংস্কারের বিষয়েও আমাকে একই উত্তর দিতে হয়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার এবং জুলাই সনদ হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি হবে।’

এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ

ইমরান হক, স্টাফ রিপোর্টার

image

স্টাফ রিপোর্টার - ইমরান হক।। 
ডিসেম্বর ’২৫-জুলাই ’২৬ নির্বাচন ইস্যুতে দেশের রাজনীতির আকাশে যে অনিশ্চয়তার কালোমেঘ জমাট বেঁধেছিল; লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকে তা কেটে গেছে। কোনো ভায়া-মিডিয়ার বৈঠক নয়, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের একান্তে বৈঠকে রমজানের আগে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তো বটেই সারাবিশ্বের গণমাধ্যমের চোখ ছিল লন্ডন বৈঠকের দিকে। বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয় তা নিয়ে একদিকে ছিল উত্তেজনা অন্যদিকে ছিল প্রত্যাশা-আশাবাদ। দীর্ঘ আলোচনার পর দুই নেতা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। বৈঠকে তারেক রহমান রমজানের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিলে ড. ইউনূস জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, শিগগিরই নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা