ইমরান হক - চাঁদপুর প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার মাস্টারমাইন্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার কলঙ্কিত ষড়যন্ত্রের দিন, বিশ্বাসঘাতকতার দিন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার দিন। এ দিনের ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যে ওলটপালট করে দেয় তার রেশ থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশের রাজনীতি। দেশি-বিদেশি শক্তি যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সাহায্য করেছে, তারা যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আবার তাদেরই ষড়যন্ত্রে ৭ নভেম্বর থেকে দেশপ্রেমিক সৈনিকদের হত্যা হয়েছে। এ দিন দেশে কোনো বিপ্লব বা কোনো সংহতি হয়নি, হয়েছে সৈনিক হত্যা। দেশপ্রেমিক সৈনিকদের হত্যা করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তাদের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা কার্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে ভারচুয়ালি বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সন্তুস দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক, রুহুল আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদস্য বদিউজ্জামাল কিরণ, বেলায়েত হোসেন গাজী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক এসএম জয়নাল আবেদীন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুর রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আমেনা বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী পায়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসিমসহ অনেকে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!