খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় প্রথমবারের মতো গম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন পাঁচ কৃষক। রবিশস্য প্রণোদনা কর্মসূচি ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে তারা এই ফসল চাষ করেছিলেন। ইতিমধ্যে প্রতিটি খেতেই ফলন আসতে শুরু করেছে।
লক্ষ্মীছড়িতে চার কৃষক গম চাষ করেছেন। দুল্যাতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি গ্রামের কৃষক নুরহাসেন ৩৩ শতক জমিতে গম চাষ করেছেন। পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য তিনি পুরো খেত জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
নুরহাসেন জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এই প্রথম সবজি চাষের পরিবর্তে গম চাষ করেছেন। ফসলের ভালো ফলন দেখে তিনি আনন্দিত। গাছে গাছে গম পরিপক্ব হয়ে উঠছে। ফসল রক্ষা করার জন্য জাল দিয়ে খেত ঘিরতে হয়েছে। জমির পাশে ছোট ছড়া থাকায় নিয়মিত সেচ দিতে পারায় তিনি ভালো ফলনের আশা করছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নুরহাসেন একজন সফল কৃষক। তিনি রবি মৌসুমে সবজি ও আউশ, আমন ধান চাষ করতেন। এবার পরীক্ষামূলকভাবে তার জমিতে গমের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। গাছে গাছে গম পরিপক্ব হয়ে উঠছে। আর কয়েকদিন পর ফসল কাটা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এই পাহাড়ি জনপদের মাটি ও বায়ু গম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলে পরীক্ষামূলকভাবে এই উপজেলায় পাঁচজন কৃষক গমের প্রদর্শনী স্থাপন করেছেন। সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়ায় তারা খেতে ফসলের চমৎকার ফলন দেখিয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর বীজ সংগ্রহের কারণে জমিতে ফসল আসতে এবং পাকতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে তিনি মনে করেন, এই পাহাড়ি এলাকায় গম চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের বুদংপাড়ায় চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ২০ শতাংশ জমিতে গম চাষ করেছেন কৃষক শামসুল হক। তিনি ইতিমধ্যে গম কেটে ঘরে তুলেছেন। ফলন বেশ ভালো হওয়ায় তিনি আগামী মৌসুমে গম চাষের পরিমাণ বাড়াতে চান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!