রমজান মাস মুসলিম বিশ্বের জন্য এক বিশেষ ও পবিত্র সময়। এটি শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও আল্লাহর রহমত লাভের শ্রেষ্ঠ সময়। এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অসীম। মহান আল্লাহর রহমতের সমুদয় দরজা উন্মুক্ত হয়, আর সারা মাসের ধরে রোজাদাররা তাঁদের ইবাদতের মাধ্যমে আত্মবিশুদ্ধি অর্জন করে থাকেন। রোজার প্রতি গুরুত্ব বর্ণনা করা হাদিসে এসেছে নানা দিকনির্দেশনা, যা আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। আসুন, জানি রোজার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস।
১. রোজার প্রতিদান আল্লাহ দেবেন
প্রত্যেক আমলের জন্য নির্ধারিত সওয়াব থাকে, কিন্তু রোজার সওয়াব আল্লাহ নিজে দেবেন। হাদিসে এসেছে, রোজা আল্লাহর জন্যই রাখা হয় এবং এর বিনিময়ে আল্লাহ স্বয়ং পুরস্কৃত করবেন। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "রোজা আলাদা, কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব।"
২. রোজাদারকে কিয়ামতের দিন পানি পান করাবেন আল্লাহ
যে ব্যক্তি রোজার কারণে গ্রীষ্মকালে পিপাসা সহ্য করেছে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন পানি পান করাবেন। এটি একটি মহান পুরস্কার যা আল্লাহ তার বান্দাকে দান করবেন।
৩. রোজা হল জান্নাত লাভের পথ
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি একদিন রোজা রাখবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশের এক বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়।
৪. জান্নাতে প্রবেশের জন্য রোজাদারদের জন্য বিশেষ দরজা
রমজান মাসের রোজাদারদের জন্য জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম "রাইয়ান"। কিয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে কেবল রোজাদারগণই প্রবেশ করতে পারবেন। এই দরজা দিয়ে একমাত্র তারা ইহসান লাভ করবেন, যারা রোজা রেখেছেন।
৫. রোজাদারের গুনাহ মাফ হয়ে যায়
রমজান মাসে রোজা রাখা, ইমান ও সওয়াবের উদ্দেশ্যে করলে, আল্লাহ তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেন। এটি আল্লাহর মহান রহমতের একটি বিশেষ দান।
রমজান মাসের এ বিশাল ফজিলত ও পুরস্কারের প্রতি আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন। রোজা আমাদের শুধু শারীরিক অনুশাসন নয়, বরং আত্মিক উন্নতির এবং আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভের এক বিশেষ উপায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!