আল্লাহ তাআলা সবসময় ফেরেশতাদের দিয়ে ইবাদত করান। তবুও তিনি এমন এক জাতি সৃষ্টি করেছেন, যারা ইবাদত করবে, ভুল করবে, আর তওবা করে তার দিকে ফিরে আসবে। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথমে জিন জাতি এবং পরে মানবজাতি সৃষ্টি করেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতদের তওবা ও ইস্তেগফারের আদেশ দিয়েছেন।
নবীজির হাদিসে তওবার গুরুত্ব
নবীজি (সা.) বলেছেন, দুনিয়ার সব মানুষ যদি গুনাহ করাই বন্ধ করে দিতো, তাহলে আল্লাহ তাআলা এমন একটি নতুন জাতি সৃষ্টি করতেন, যারা গুনাহ করবে এবং তওবা করবে। (সহীহ মুসলিম: ২৭৪৯)
তওবার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত খুশি হন। এই বিষয়ের একটি সুন্দর উদাহরণ আমরা নবীজি (সা.)-এর একটি হাদিসে পাই।
ঈমানদার ও পাপিষ্ঠের গুনাহের অনুভূতি
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) দুটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একজন ঈমানদার ব্যক্তি তার গুনাহকে এত বড় মনে করে, যেন একটি বিশাল পাহাড় তার মাথার ওপর ধসে পড়বে। আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি তার গুনাহকে মাছির মতো তুচ্ছ মনে করে, যা নাকে বসে উড়ে যায়।
নবীজি (সা.) আরও বলেছেন, এক ব্যক্তি একটি নির্জন স্থানে ভ্রমণের সময় তার খাদ্য-পানীয়সহ বাহনটি হারিয়ে ফেলে। গরম ও পিপাসায় কাতর হয়ে সে যখন নিজের মৃত্যুর প্রস্তুতি নেয়, তখন আবার তার বাহনটি ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়। আল্লাহ তাআলা তার বান্দার তওবার কারণে এর চেয়েও বেশি খুশি হন। (সহীহ বুখারি: ৬৩০৮)
তওবা করুন, আল্লাহর কাছে ফিরে আসুন
এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, আল্লাহ তাআলা তওবাকারী বান্দাদের প্রতি কতটা করুণাময়। তাই আসুন, আমরা সবাই নিজেদের গুনাহের জন্য তওবা করি এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!