রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (৩ মে) বিশাল মহাসমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলায়েখে চদেশ। সমাবেশে সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বক্তব্যে আমির বাবুনগরী দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ‘জালিম শাসক’ পালিয়ে গেলে ‘হারানো স্বাধীনতা’ ফিরে আসে। এ সময় তিনি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলন ও অন্যান্য ‘শহীদদের’ স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি ও বিদেশি হুমকির প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহায়তায় বাংলাদেশকে একটি ‘নতুন যুদ্ধক্ষেত্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
এসময় তিনি নারী ও পরিবারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে ‘কোরআনবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কিছু এনজিওপন্থী নারীবাদী গোষ্ঠী দেশের ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ভাঙার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই কমিশন বাতিল করে আলেম-ওলামাদের পরামর্শে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
এছাড়াও, তিনি বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ধর্ম অবমাননার শাস্তিসংক্রান্ত ধারাগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ ‘গভীর ষড়যন্ত্র’। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান হেফাজত আমির।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ থাকবে, গুম-খুন বন্ধ হবে, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিভেদহীন সমাজ গঠন করতে হবে।”
শেষে তিনি উপস্থিত আলেম, ছাত্র ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনতাকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “৫ আগস্টের বিজয়কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ইসলাম ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!