প্রতিটি মুসলিম নবজাতকের জন্য তার পিতা-মাতার উপর বিশেষ কর্তব্য হলো জন্মের সপ্তম দিবসের মধ্যে তার জন্য একটি সুন্দর নাম রাখা। নাম শুধু পরিচয়ের জন্যই নয়, বরং এর ভালো-মন্দের প্রভাব ব্যক্তির স্বভাব-চরিত্রের উপরও পড়ে।
শুচিশুভ্রতা ও পবিত্রতা: সুন্দর নামের প্রভাবে শিশুর স্বভাব-চরিত্রে শুচিশুভ্রতা ও পবিত্রতা ফুটে ওঠে।
ভালো গুণাবলী: সুন্দর নামের মাধ্যমে শিশুতে ভালো গুণাবলী বিকশিত হতে পারে।
সমাজে সম্মান: সুন্দর নামের অধিকারী ব্যক্তি সমাজে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে।
মানসিক সমস্যা: ভুল নামের কারণে শিশু মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে।
সমাজে উপহাস: ভুল নামের জন্য শিশু সমাজে উপহাসের শিকার হতে পারে।
অর্থবহ নাম: নামের অর্থ ভালো ও সুন্দর হওয়া উচিত।
শ্রুতিমধুর: নাম শুনতে সুন্দর ও সহজ হওয়া উচিত।
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট: নামের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা উচিত।
বিদেশি ভাষার নাম: বিদেশি ভাষার নাম রাখার ক্ষেত্রে অর্থ ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
আলেম-ওলামার পরামর্শ: নাম রাখার ব্যাপারে আলেম-ওলামার পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মুহাম্মাদ নাম: নবীজী (সাঃ) বলেছেন, "তোমাদের কারও ঘরে এক, দুই বা তিনজন মুহাম্মাদ থাকলে, তার কোনো অনিষ্ট হবে না।"
নামের বিকৃতি: নবীজী (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি কাউকে তার নাম পরিবর্তন করে বিকৃত করে ডাকবে, আল্লাহর ফেরেশতারা তার ওপর লানত করেন।"
লেখক: ইমাম ও খতিব, কাওলার বাজার জামে মসজিদ, দক্ষিণখান, ঢাকা
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!