শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চিশতিয়া এতিমখানা। শাহরাস্তি চিশতিয়া আলিম মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে'র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষ। ১৯৮০খ্রি: রেজি নং চাঁদ ৪১ (৭৮/৮৩/৮৬) ২১/১১/১৯৮৩খ্রি: প্রতিষ্ঠা লাভ করে যথারীতি চলমান রয়েছে। চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহের (ঠাকুর বাজার) শাহরাস্তি পৌরসভায় অন্যতম প্রতিষ্ঠান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রাপ্ত মোট নিবাসী: ৪৪ ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রাপ্ত এতিমের সংখ্যা: ২২জন। চিশতিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ অংশ এই এতিমখানার ছাত্র। এই এতিমখানায় নূরানী বিভাগ, হেফজ্ বিভাগ ও আলিয়া বিভাগ সমন্নয়ে গঠিত। এই এতিমখানায় গড়ে বছরে ৭০-৭৫ জন ছাত্র সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে বিভিন্ন শাখা, বিভাগ সম্পূর্ণ করে ছাত্র বের হয়।
হোষ্টেল সুপার নূর ইসলাম বলেন, শাহরাস্তি উপজেলার প্রায় সকল গ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এতিম, অসহায়, গরীব ও দুস্ত বাচ্চাদের নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, অনেক অসহায় বাচ্চাদের রাখা সম্ভব হয়না। কেননা ৭০/৭৫ জনের খাবার, পোশাক, আবাসন সহ ভিবিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরন করা সম্ভব হয়না বিধায় অনেক ছাত্র ভর্তি করা সম্ভব হয়না। এছাড়াও সমাজ সেবা থেকে শুধুমাত্র ২২জন ছাত্র'র কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া যায়।
এতিমখানা সভাপতি শহীদুল্লাহ্ মিয়াজী বলেন, অসহায় বাচ্চাদের সুশিক্ষার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই সমাজের সুধীজন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় চলছে। তবুও মাঝে মাঝে হিমশিম খেলেও প্রতিষ্ঠানটি চলমান রয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলার বর্তমান মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ অত্র প্রতিষ্ঠানের বিশেষ এবং প্রধান শুভাকাঙ্ক্ষী, তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিয়মিত তদারকি করেন।
এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মামুনুর রশিদ জানান, শাহরাস্তি চিশতিয়া এতিমখানা কত দিশেহারা অসহায় বাচ্চাদের বাতিঘর হিসেব কষে বলা মুশকিল। তবে এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আমরা যেখানেই থাকি আরো ভালো উন্নত সমৃদ্ধশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃতিত্ব পাবে এমনটি প্রত্যাশা থাকবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!