logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - ধর্ম ও জীবন- উটের আশ্চর্য ক্ষমতা: কোরআনের আলোকে বিশ্লেষণ

উটের আশ্চর্য ক্ষমতা: কোরআনের আলোকে বিশ্লেষণ

উটের আশ্চর্য ক্ষমতা: কোরআনের আলোকে বিশ্লেষণ । ছবি সংগ্রহীত

উট, প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময়। প্রচণ্ড গরম কিংবা তীব্র ঠান্ডা—সব ধরনের প্রতিকূল পরিবেশেই এরা বেঁচে থাকতে সক্ষম। মরুভূমির রুক্ষ পরিবেশে শত শত মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেই উটকে বলা হয় ‘মরুর জাহাজ’।



আরও পড়ুন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটের বার্ষিক তাবুবাস ও দীক্ষাগ্রহণ অনুষ্ঠান

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটের বার্ষিক তাবুবাস ও দীক্ষাগ্রহণ অনুষ্ঠান

উটের অসাধারণ সহনশীলতা

৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের প্রচণ্ড গরম থেকে শুরু করে মাইনাস ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের শীতল আবহাওয়াও উট সহ্য করতে পারে। দীর্ঘ সময় পানি না পেয়েও উট দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে, যা অন্য কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকি, বড় বড় কাঁটাযুক্ত ক্যাকটাসও অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারে এই বিস্ময়কর প্রাণী।


শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ক্ষমতা

মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরের তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর ক্ষতি হতে থাকে। কিন্তু উটের শরীর সকালে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে এবং দিনে এটি ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে, তবুও এটি সহজে ঘাম ঝরায় না। ফলে পানিশূন্যতার শিকার হয় না।


একসঙ্গে প্রচুর পানি পান করার ক্ষমতা

উট মাত্র ১০ মিনিটে প্রায় ১৩০ লিটার পানি পান করতে পারে, যা প্রায় তিনটি গাড়ির জ্বালানি ট্যাংকের পানির সমপরিমাণ! অন্য প্রাণীদের রক্তে এত বেশি পানি প্রবেশ করলে তাদের রক্তকণিকা ফেটে যাবে। কিন্তু উটের রক্তকণিকার গঠন এমন যে এটি উচ্চ চাপ সহ্য করতে পারে।


কুঁজের রহস্য

অনেকেই মনে করেন, উটের কুঁজে পানি থাকে। কিন্তু আসলে সেখানে চর্বি জমা থাকে, যা থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। এই চর্বি ব্যবহার করে উট খাবার ও পানি ছাড়া টানা ছয় মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।


মানুষের প্রতি বিশ্বস্ত ও নিরীহ প্রাণী

উটের বিশাল শক্তি ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এটি অত্যন্ত শান্ত ও বিশ্বস্ত প্রাণী। মরুভূমিতে সভ্যতা গড়ে তোলার পেছনে উটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উটের সাহায্যেই মরুভূমির দুর্গম পথ অতিক্রম করা সহজ হয়েছে।


কোরআনে উটের বিস্ময়কর বর্ণনা

পবিত্র কোরআনে উটের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষের উপযোগী করে উটকে সৃষ্টি করেছেন, যা মরুভূমির কঠিন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। উটের শক্তিশালী দাঁত ও মুখের বিশেষ গঠন তাকে কাঁটাযুক্ত গাছ খেতেও সক্ষম করে। এছাড়া, উটের চোখের বিশেষ দুটি স্তরের পাতা ধুলিঝড় থেকেও দৃষ্টি রক্ষা করে।


উট: প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার

উটের অসাধারণ সহনশীলতা, বিপুল শক্তি ও ধৈর্য প্রকৃতির এক আশ্চর্য দান। মরুভূমিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনে উট এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। উট শুধু মরুভূমিতে টিকে থাকার জন্য তৈরি হয়নি, এটি প্রকৃতির এক অপার বিস্ময় যা মানুষের জন্য এক অনন্য আশীর্বাদ।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

উটের আশ্চর্য ক্ষমতা: কোরআনের আলোকে বিশ্লেষণ

মইনুল ইসলাম গাজী, ইসলামিক প্রতিনিধি

image

উট, প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময়। প্রচণ্ড গরম কিংবা তীব্র ঠান্ডা—সব ধরনের প্রতিকূল পরিবেশেই এরা বেঁচে থাকতে সক্ষম। মরুভূমির রুক্ষ পরিবেশে শত শত মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেই উটকে বলা হয় ‘মরুর জাহাজ’।