গার্মেন্টস ও নির্মাণ খাতে উচ্চ বেতনের প্রলোভনে কিরগিজস্তানে গিয়ে কাজ না পেয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে বিশেষ এক ফ্লাইটে বিশকেক থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ১৮০ জন বাংলাদেশি।
তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ভোর সাড়ে ৩টার দিকে — বিশেষ ওই ফ্লাইটটি বিশকেক থেকে অবতরণ করে। ফেরা পালনার্থীদের সঙ্গে সরকারি বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবা সংস্থা মাঠে থেকে জরুরি সহায়তা প্রদান করেছে।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অধীনে কাজ করা স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান যে অভিবাসীদের বিমানবন্দরে আর্থিক সহায়তা, তাত্ক্ষণিক সেবা এবং পুনর্বাসনের প্রথম ধাপ নিয়মিতভাবে প্রদান করা হয়েছে; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও সিভিল এভিয়েশন autoridades-ও এই সমন্বয়ে জড়িত ছিলেন।
ভুক্তভোগীদের বয়ান অনুযায়ী—লালমনিরহাটের আদিতমারীর মো. শহীদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, ২০২৪ সালের ৩ জুন বিক্ষেক পৌঁছে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনি নানা অনিয়মে পড়েন; দীর্ঘ সময় বেতন ছাড়া কাজ করতে বাধ্য হন এবং পরবর্তীতে কয়েক মাস কারাভোগ করতে হয়। অপর একজন, শরীয়তপুরের সখীপুরের প্রিন্স মিয়া (২১) জানান—ইতালি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে আগে দুবাই এরপর বিশকেকে নিয়ে যাওয়া হয়; প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় তিনি প্রতারণার শিকার হন এবং চার মাসেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন। কুষ্টিয়ার মিরপুরের মো. মিলন আলি (৩৮) অভিযোগ করেন, ওয়েল্ডিংয়ের কাজে দুর্ঘটনার পরও নিয়োগকর্তা কোনো সহায়তা না দেয় এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার জানিয়েছে, তারা গত আট বছরে দেশে-বিদেশ থেকে ফেরত আসা ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে এবং প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার ও ফিরিয়ে আনার কাজ পরিচালনা করে থাকে। চলতি ও গত বছরেও এমন কেস উদ্ধার ও সহায়তার রেকর্ড রয়েছে।
প্রবাসে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য কিছু জরুরি সতর্কতা: যাচাই-বিহীন দালাল বা এজেন্টের সঙ্গে লেনদেন করবেন না, নিয়োগপত্র ও ভিসার কাগজপত্রখানা মেনে যাচাই করুন, এবং প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক বা ব্র্যাকের মতো স্বীকৃত সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখুন। (উপরের ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন ও ভুক্তভোগীদের বয়ান থেকে সংগৃহীত)।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!