সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে লিটন মিয়া নামের এক যুবকের মৃত্যুদন্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে আদালত। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটন আহমদ ওরফে লিটন মিয়া সদর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে তমা (১৮) বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো অভিযুক্ত লিটন মিয়ার। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়ে তমা আক্তার বাড়িতে একা রেখে স্ত্রী ও অন্য সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান ফরিদ আহমদ। পরদিন ২৯ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে রান্নাঘর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করলে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রেমিক লিটন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
সাক্ষ্য প্রমাণ ও তথ্য প্রযুক্ত সহায়তায় তমা আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দীর্ঘ মামলা শুনানী ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থ দন্ড প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
এদিকে এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো.শামছুর রহমান।
লগইন
ছবিঃ বিডিসিএন২৪
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!