ঢাকা, ২৯ মে:
জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি এসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ যেন থমকে গেছে টানা বৃষ্টির ধাক্কায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা। প্রথমে হালকা বৃষ্টি, এরপরই নামে মুষলধারে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে দুঃসংবাদ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা, অর্থাৎ আরও দুই দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজ সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায়, বিশেষ করে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ ভোরে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকাতেও ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোতে।
বৃষ্টি ও দুর্যোগে সাবধানতা অবলম্বন এবং যাত্রাপথে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!