হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার তজম্মুল হক চৌধুরী একসময় পানের টং দোকান থেকে শুরু করে আজকের বিলাসবহুল বাড়ি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতিসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি সাংসদের আশ্রয়ে অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
২০০৮ সালে তার আত্মীয় আব্দুল মজিদ খান এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তজম্মুল হক চৌধুরী বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারীর দায়িত্ব নেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি মুরাদপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন। এই স্কুলকে পুঁজি করে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন মহসিন তজম্মুল হকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে স্কুল থেকে বিতারিত করা হয়। তজম্মুল হক চৌধুরী তার সম্পদের উৎস সম্পর্কে বলেন, তিনি ৩০ বছর যাবৎ ইনকাম টেক্স দেন। তবে তার সম্পদ তার আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা তজম্মুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!