ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের মজলিস পুর মৌজার একটি বিল ও জমিনে দুর্বৃত্তরা ২৬ শে ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বিষ প্রয়োগ করে। বিষাক্রান্ত হয়ে মাছ ও জলজ প্রানী মরে ভেসে উঠে। হাওরে আসা অতিথি পাখি ও বক মাছ খেয়ে বিষাক্রান্ত হয়। ভোরে কৃষক ও রাখালরা হাওরে গিয়ে দেখতে পায়। বিলে মাছ ভেসে রয়েছে। এবং হাওরের বিভিন্ন স্হানে বক ও অতিথি পাখি ঝিমুতে থাকে। কৃষক ও পথচারী সাধারণ মানুষ পাখি ধরে নিয়ে যায়। আবার কেউ বা জবাই করে নিয়ে যায়। বিল ও জমিনের মালিক ছোট নগরের আব্দুল মালিকের পুত্র ফিরোজ মিয়া বিকেলে খবর পেয়ে বিলে গিয়ে দেখেন তার সর্বনাশ হয়েছে। আজ সরজমিন অনুসন্ধানে উপরোক্ত তথ্য জানান প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছোট নগরের শওকত আলীর পুত্র কাছু মিয়া ও চানপুরের রবি হোসেন। আসার সময় মেঠো পথে দেখা কৃষকের বিবরণে সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিল ও জমিনের মালিক ফিরোজ মিয়া বলেন,আমার কারো সাথে বিরুধ নেই। তবে কামালখানীর জহুর হোসেনের পুত্র গোলাম হোসেন ও গোলাপ আলীর পুত্র কামাল হোসেনগং আমার বিলের সংলগ্ন সরকারি খন্তা ডাক এনে মাছ সংরক্ষণ করছেন। তারা বার বার আমার বিল ক্রয় করার জন্য এসে চাপ সৃষ্টি করেছেন। আমি বিলের মাছ বিক্রি করিনি। বিলে বিষ প্রয়োগ করলে, বিলের মাছ তাদের খন্তায় চলে যাবে বলে ও তিনি জানান। এ বিষয়ে তিনি আইনী পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে জানান। অতিথি পাখি মৃত্যুর বিষয়ে বন বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইনী ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!