হবিগঞ্জে বানিয়াচংয়ের মজলিস পুর গ্রামে দুপক্ষের ৩ ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজ থেকে মাওলানা আনোয়ারুল হক বের হওয়া মাত্র পূর্ব বিরুদ্ধের জেড়ে আওয়ামীলীগ নেতা শাহেদ আলীর নির্দেশে একদল লোক মারপিট শুরু করে।
উপস্থিত লোকজন আনায়ারুল হককে বাচাতে এগিয়ে এলে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। ৩ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে দুপক্ষের শতাধিক আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সংঘর্যে দেশী অস্রশস্র ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষচলা কালে সেনাবাহিনী ও আলিম ওলামাদের চেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ আওয়ামী লীগে নেতা দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় দাঙ্গা সৃষ্টি করে চাঁদাবাজী করে আসছেন। তার সহযোগী সাবেক মেম্বার জালাল মামদ গণ বিএনপির পক্ষের শক্তি। জালাল মামদ বানিয়াচং ১নং ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি ও তার দলবল সব সময়ই আওয়ামীগের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সহযোগিতা ও ভোট দিয়েছেন। মজলিস পুর গ্রামের, ডা:উমেদ মিয়া সহ অনেকর দাবী শাহেদ আলীর কোন পেশা নেই। এক সময় জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে অনেক চাঁদাবাজী করেছে, এসিড নিক্ষের মামলা সাজা প্রাপ্ত। হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আপস করেন।
ভয়ে গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না। নাটের গুরু তিনিই বলে জানান মজলিসপুর গ্রামের আহত মেম্বার মুনসুর মিয়াসহ কয়েক জন। গুরুতর আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপালে প্রেরণ করা হয়ে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে থমথমে অবস্হা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!