স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার উৎসবে মেতেছে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সলেমান মাঝি'র নেতৃত্বে বহরিয়ার জেলেরা। আর এই টনে টনে মা ইলিশ গুলো বিক্রি হয় নদীর পাড়েই। প্রতি রাতে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। জাতীয় সম্পদ মা ইলিশ কেনাবেচার সময় মাছসহ ৩ ব্যাক্তিকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। আসামীদের নিয়ে যাওয়ার সময় সলেমান মাঝি ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে পুলিশের দুই সদস্য। এই ঘটনায় ২৯ জনের নামে এবং ৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতার তিন আসামীকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামীরা হলেন- সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া কোটারাবাদ এলাকার মো. শাহীন (৩৮), মো. বিল্লাল (২৪) ও মো. আবদুল গফুর (৩৫)। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-মাইমুনুদ্দিন ও জোবায়ের হোসেন।
পুলিশের সাথে জেলেদের হামলার ঘটনা জানতে পেরে চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলিশের একটি টিম নিয়ে সেখানে ছুটে যান।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বহরিয়া বাজারের আড়ৎদার ও জেলেদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, বহরিয়ায় মাছ বিক্রির খবর শুনে পুলিশের একটি টিম ভোর রাতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা করে। এই ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা এর সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে বহরিয়া বাজারে নদীর পাড়ে প্রতিবছরই সলেমান মাঝি'র নেতৃত্বে মা ইলিশ নিধন করা ও বিক্রি করার রমরমা বাণিজ্য চলে ।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাখুয়া লক্ষ্মীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের নদীর পাড়ে, হরিনা ফেরিঘাট উত্তর ও দক্ষিণ সংলগ্ন বাগানে এবং নন্দীগো ঘাট, আখনের হাটের দক্ষিণ পাশে প্রতিদিন ভোর হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ইলিশ বেচাকেনা চলে।
মূলত কিছু আরদদার নামের দালাল চক্র রয়েছে যারা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরার জন্য নির্দেশ দেয়। চাঁদপুরের নৌ পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় জেলেরা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!